শেষ প্রস্তুতি | দেবব্রত নাইয়া


31 মে,২০১৫.সেদিন সকাল থেকে প্রত্যেকটা মুহূর্ত মনে পড়ে,,সারাদিন একটা চাপা টেনশন কাজ করছিল,চারিদিক থেকে বিগত  ৫ বছর ধরে ভেসে আসা টিটকিরি, বছরের পর বছর ট্রফিলেস থাকার যন্ত্রনা সবকিছু ভুলিয়ে দিতে পারত ঐ ১ টা দিন,,আবার সব স্বপ্ন কে ধূলিসাৎ করে জীবনের কষ্টকর দিন গুলোর মধ্যেও একটা হতে পারত,,হতে পারত আরো বহু বছরের অপেক্ষা,,
আবার গ্যালারী থেকে প্লেয়ার দের দিকে ভেসে আসতো গালি গালাজ,নাহ ওদের দোষ দিই না,ট্রফি না পাওয়ার যন্ত্রনা ঐ মানুষ গুলোর ও কম ছিল না,,আমিও যে তাদের ই একজন।খেলার ৮৮ মিনিট অব্দি সেদিকেই এগোচ্ছিল ঘটনাপ্রবাহ,আমি আর বাবা বারবার চেয়ার পাল্টাচ্ছিলাম,চোখ ছলছল করছিল,লাখ লাখ মেরিনার্সদের স্বপ্ন ভাঙার মুহূর্তটা আস্তে চলেছে টের পাচ্ছিলাম,,তারপর সেই কর্নার,,বেলোর হেড এ বলটা জালে জড়িয়ে গেল।নাহ সেই সময় কার অনুভূতি টাকে ফেসবুক এ লেখার মতো ক্ষমতা আমার নেই,সেদিন ও পরিস্থিতি প্রতিকূল ছিল,দর্শক ওদের ছিল,মাঠ ওদের ছিল,খেলার শেষ সময় অব্দি এগিয়েও ওরা ছিল,তবুও ঐ ১১ জনের দাঁতে দাঁত চেপে অদম্য লড়াই ই শাপমোচন ঘটিয়েছিল,,পরের দিন শহর কলকাতা ভেসেছিল সবুজ মেরুন রঙে,  
আবার সেই সময় উপস্থিত, ঐ ১১ জন যারা মাঠে নামবে সবুজ মেরুন জার্সি পরে,তারা একা নয়,তাদের সাথে থাকবে লাখ লাখ মোহনবাগানির হুঙ্কার,,আর কোনো একটা কোণ থেকে এখন ও হয়তো নীরবে দলের জয় প্রার্থনা করবে সৌম্য,,আমি জানি অন্তত তোমার জন্য ওই সোনালী চুলের ফিনিক্স পাখি,,আর তার সাথে ১০ জন সহযোদ্ধা নিজেদের উজাড় করে দেবে,,আমরা পারবই।পারতে আমাদের হবেই

শেষের কথা গুলো লিখতে লিখতে চোখের কোলটা ভিজে উঠলো,,নাহ বড্ড আবেগপ্রবণ আমি।😊।আরেকবার চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছে 
#জয়_মোহনবাগান।😊😊
ফেসবুক ক্রমাগত আমাদের গ্রুপ শেয়ারিং ব্লক করে চলেছে, সুতরাং, মোহন বাগান সম্পর্কিত সমস্ত খবর সবার আগে পেতে এক্ষুনি ব্লগ এর উপরে পুশ বটন অ্যালাও করে দিন আর আমাদের ফেসবুক পেজেলাইকের মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখুন, পোস্টটি পছন্দ হলে শেয়ার করতে অবশ্যই ভুলবেন না কিন্তু, লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজে "আমরা মোহনবাগানি" ব্লগের পাশে থাকবেন। - জয় মোহন বাগান

loading...

No comments

Powered by Blogger.