সুপার কাপ: ফেডারেশনের অবিচারের শিকার আই লিগের টিমগুলি । মোহন বাগান ফ্যানাটিক
এই সপ্তাহে তারকাদের সঙ্গে চুক্তি করার দাবি মোহন অর্থ সচিবের
নিজস্ব প্রতিনিধি,কলকাতা: সুপার কাপে খেলার জন্য আইএমজিআর এবং অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন আই লিগের দলগুলিকে কোনও অর্থ দিচ্ছে না। এক অর্থে আই লিগের দলগুলির উপর অবিচার করা হচ্ছে। ভুবনেশ্বরে ভালো মানের হোটেলে থেকে সুপার কাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ খেলতে মোহন বাগানের খরচ হচ্ছে ছয় লাখ। ট্রেনের সঙ্গে প্লেনের টিকিটের ফারাক ২,৭০০ টাকার মতো। ট্রেনে গেলে হয়তো ৭০ হাজার টাকা মোহন বাগানের বাঁচবে। কিন্তু দলে ছয় জন বিদেশি আছেন। তারা ট্রেনে যেতে চাইছেন না। তাই সব মিলিয়ে চার্চিলের বিরুদ্ধে ম্যাচটি খেলতে মোহন বাগানের প্রায় ছ’লাখ লাগবে। মরশুম শেষে ছ’ লাখ খরচও মোহন বাগানের পক্ষে বেশ কষ্টকর। কারণ, ইস্তফা দেওয়ার আগে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত পেমেন্টের ব্যবস্থা করে দিয়ে গিয়েছেন অর্থ সচিব ও সহ সচিব। মঙ্গলবার মোহন বাগান কর্মসমিতি তাঁদের ইস্তফাপত্র গ্রহণ না করলেও এখনও লিখিতভাবে তাঁদের তা জানাননি মোহন বাগান সচিব। তাই ফুটবল টিমের দায়িত্ব এখন সচিবের উপর পড়েছে। মার্চ, এপ্রিলের মাহিনার পাশাপাশি মে মাসের জন্যও কিছু পেমেন্ট করতে হবে। ঘাটতি প্রায় চার কোটি। স্পনসরদের কাছ থেকে কয়েক কোটি আসবে। আই লিগে তৃতীয় হওয়ার জন্য ফেডারেশন দেবে ৪৫ লাখ। সেই অর্থ কবে ক্লাবের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে তা স্পষ্ট নয়। এই প্রেক্ষিতে চার্চিলকে হারিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে গেলে মোহন বাগানের খরচ আরও বাড়বে। সুপার কাপের ফাইনালে না গেলে কোনও পুরস্কার অর্থ নেই। ভুবনেশ্বর এখন অনেক উন্নত শহর। হোটেল ভাড়াও বেড়েছে। ফেডারেশনের শীর্ষ কর্তারা এই ব্যাপারে চুপ। যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কলকাতার ক্লাবগুলির যদি ভুবনেশ্বরে একটি ম্যাচ খেলতে ছয় লাখ খরচ হয়, তবে চেন্নাইয়ান এফসি, গোকুলাম এফসি, চার্চিল ব্রাদার্স, মিনার্ভা পাঞ্জাবের আরও বেশি খরচ হচ্ছে। ওড়িশা ফুটবল সংস্থা এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করলেও প্র্যাকটিসে যাওয়ার বাস ছাড়া তারা আর কিছুই দিচ্ছে না। এই প্রেক্ষিতে ইস্ট বেঙ্গল নিজেদের টিম বাসে ভুবনেশ্বরে যাওয়ার কথা ভাবছে। ইস্ট বেঙ্গলের ফুটবল সচিব রবিবার জানান, ‘আর্থিক সমস্যা আমাদেরও আছে। তবে আমাদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত টিম বাস আছে। কলকাতা থেকে ভুবনেশ্বর যেতে সাত বা সাড়ে সাত ঘণ্টা লাগবে। সোমবার ক্লাবে আমরা এই নিয়ে আলোচনা করব। কারণ ফাইনালে না উঠলে কিছুই পাব না।’ মোহন বাগানের পদত্যাগী অর্থ সচিব কলকাতায় ফিরলেও সমস্যা নিরসনে নতুন কোনও খবর নেই। অর্থ সচিব রবিবার বলেন, ‘মঙ্গলবার আমি ছিলাম জুরিখে। সচিব নিজের মোবাইল থেকেও ফোন করেননি। ক্লাব তাঁবুর ল্যান্ডলাইন থেকে আমার মোবাইলে একটি ফোন আসে। মাঠ সচিব ফোনটি করেছিলেন। তিনি সচিবকে ধরিয়ে দেন। সচিব বলেন, একটি নির্দিষ্ট সময় তোরা জানা। আমি তোদের সময় মতো মিটিং ডাকব। উনি তখন বলেননি, কর্মসমিতি আমাদের ইস্তফা গ্রহণ করেনি। আমি কলকাতায় থাকা সহ সচিবের সঙ্গে কথা বলতে বলি। সচিব তখন বলেন তাঁর ‘বার্তা’ সহ সচিবকে জানিয়ে দিতে। কলকাতায় ফিরে আমরা কোনও চিঠি পাইনি। রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পাইনি কোনও ফোন। আমরা তো মৌখিকভাবে ইস্তফা দিইনি। তাই পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করলে আমরা সরকারিভাবে কিছুই জানি না।’ ঘটনা হল, লিখিত ইস্তফাপত্র গৃহীত না হলেও তা লিখিতভাবে জানানোই দস্তুর। প্রেসের মাধ্যমে জানানো কখনওই কোনও নীতি হতে পারে না। সেদিন ফুটবল সচিব এবং ক্লাব সচিবরা মুখে বলেছিলেন, আমরা দ্রুত সমস্যার সমাধান করতে চাই। গত পাঁচ দিনে তাঁদের সেই উদ্যোগ চোখে পড়েনি। গত দশকের মোহন বাগানের দুই ফুটবল সচিব নিজেদের তিন বছরের টার্মে কোটি টাকারও বেশি দিয়েছেন। বর্তমান ফুটবল সচিব গত তিন বছরে তিনশো টাকা স্পনসরও এনে দেননি। যদিও ময়দানের অন্য ক্লাবকে নিজের কর্মস্থলের স্পনসর এনে দিতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন। কর্মব্যস্ততার মধ্যে বর্তমান বছরের ফুটবল বিভাগের অ্যাকাউন্টস বুঝে এবার সত্যজিৎ চ্যাটার্জিকে ঘাটতি মেটাতে স্পনসর আনার কথা বলবেন সচিব।
এরই মধ্যে অর্থ সচিব রবিবার বলেন,‘ক্লাবের স্বার্থে সুপার কাপের আগে ফুটবলারদের কোর গ্রুপের সঙ্গে নতুন মরশুমের ডিল করে নেওয়া উচিত। কারণ, আমাদের টিম ভাঙতে এটিকে তৎপর। নর্থ ইস্টও কিছু খেলোয়াড়কে অফার দিচ্ছে। নতুন বছরের ডিল করে নিলে সুপার কাপে মুক্ত মেজাজে খেলবে ফুটবলাররা।’ নতুন বছরে সুভাষ ভৌমিকের মতো টিডি ইস্ট বেঙ্গলের টিম গড়ার দায়িত্বে থাকায় অর্থ সচিবের বক্তব্য আরও বেশি প্রাসঙ্গিক। কারণ প্রবীণ টিডি’র সঙ্গে ফুটবলারদের
সম্পর্ক ভালো।
ফেসবুক ক্রমাগত আমাদের গ্রুপ শেয়ারিং ব্লক করে চলেছে, সুতরাং, মোহন বাগান সম্পর্কিত সমস্ত খবর সবার আগে পেতে এক্ষুনি ব্লগ এর উপরে পুশ বটন অ্যালাও করে দিন আর আমাদের ফেসবুক পেজেলাইকের মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখুন, পোস্টটি পছন্দ হলে শেয়ার করতে অবশ্যই ভুলবেন না কিন্তু, লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজে
"আমরা মোহনবাগানি" ব্লগের পাশে থাকবেন। - জয় মোহন বাগান
loading...
No comments