ব্যরেটো ই ভরসা | অরিন্দম দত্ত

সালটা ১৯৯৮ তদানীন্তন সময় অঘোষিত ফুটবল যুদ্ধ ছিলো বাংলা বনাম পাঞ্জাব...বাংলা মানেই মোহনবাগান আর ইস্ট বেঙ্গল ওদিকে পাঞ্জাব মানেই জে সি টি...সব টিমেই ভালো মানের খেলোয়াড় দের ছড়া ছড়ি....সেই বছর চালু হলো সর্ব ভারতীয় ফুটবল লিগ..
যা প্রথম বার জিতে নিয়েছিলো পাঞ্জাব এর জে সি টি...আমাদের প্রিয় মোহন বাগান সে বছর তেমন ভালো ফলা ফল করতে পারিনি...পরের বার লিগ শুরুর আগেই বদলে গেলো টিমের খোল নোলচে.....শুরু হলো বিদেশী নির্বচন এর কাজ...তার আগেই নিজের দেশে  ফিরে গেছিলো দূষিত...প্রথম ডিফেন্ডার নেয়া হলো ওমেলো কে...যে ভারতীয় ফুটবল এ নিজেকে দ্য ওয়াল নাম এ প্রতিষ্ঠা করেছে...তার পর নেয়া হলো অব্রোহি কে...যার গোল করবার জন্ন যথেষ্ট সুনাম ছিলো....তৃতীয় বিদেশী হিসবে নেয়া হলো উজবেকিস্তানের ইগর স্কিরভিন কে.....যার খেলা দেখে মুগ্ধ  হয়েছিলো তত কালীন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী প্রিয় রঞ্জন দাসমুন্সী..প্রিয় রঞ্জন বাবুর অনুরোধে আমাদের কর্ম কত্তা অঞ্জন মিত্র আর টুটু বাবু সরা সরি ইগর এর নাম নথিভুক্ত করিয়ে নিয়েছিলেন...
তখন ও দরকার আর ও এক জন বিদেশী..তখন মোহন বাগান কোচ সুব্রত বাবুর কাছে পরিক্ষা দেবার জন্ন পাঠান হলো তিন বিদেশী কে....তার মধ্যে দু জন নাইজেরিয়া থেকে আগত আর এক জন ব্রাজিল থেকে....নাইজেরিয়া থেকে আগত বিদেশীরা দারুণ সব গোল করে প্রায় নিশ্চিত..কিন্তূ ব্রাজিল থেকে আগত বিদেশী নাকি পুরনো চোট নিয়ে এসেছেন....এমন কি এমন ও শোনা যায় উনি নাকি মোহনবাগান এ আসবার আগে ইস্ট বেঙ্গল এ খেলবার চেষ্টা করেছিল...যদিও তার কোন সত্য প্রমাণ আজ ও মিলি নি...নাইজেরিয়ান রা যখন প্রায় নিশ্চিত তখনই গন্ডগোল বাঁধল...নিলে নাকি দু জন নাইজেরিয়ান কে এক সাথে নিতে হবে না হলে ওরা ফিরে যাবে...এমতবস্থায় পুরনো খেলোয়াড় বাসুদেব মন্ডল ও কোচ সুব্রত ও কর্মকতা দের আলোচনায় ঠিক হয় ব্রাজিল থেকে আগত জোসে রমীরেজ ব্যরেটো কেই সই করানো হবে...সেই বছর মোহনবাগান দারুণ ফুটবল উপহার দিলো আর জিতে নিলো ফুটবল প্রেমী মানুষের হৃদয়....সাথে জিতে নিলো সর্ব ভারতীয় ফুটবল লিগ ও.....দুরন্ত ফুট বল খেললো ইগর....দারুণ সব গোল করলো স্টিফেন...ওমেলো আবার ও নিজের জাত চেনালো...কিন্তূ সবাই কে ছাপিয়ে ভারতীয় ফুটবল দরজায় করা নারা দিলো নবাগত বিদেশী ব্যরেটো....সাথে বুজিয়ে দিলো ভারতীয় ফুটবল এ    আবির্ভাব ঘটলো এক নুতন নায়কের...নুতন ফুটবল জাদুকরের...তার পর থেকে সব ই আমাদের জানা....সব ই ইতিহাস...দিনে দিনে সে হয়ে উঠেছে মোহন জনতার নয়নের মনি তাকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে সব সপ্ন..আশা ভরসা..নিজের পরিশ্রম দায়বদ্ধতা দিয়ে হয়ে উঠেছে মোহন বাগানের বহু ম্যচ এর পরীত্রতা ...ক্রমে ময়দান জুড়ে তার নামে উঠেছে ধনী...শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
          ব্যরেটো ই ভরসা 
        অনেক দিয়েছে মোহনবাগান কে বিনিময়ে চুরি করে নিয়েছে মোহন জনতার মন....ব্যরেটো শুধু মোহন জনতার মনেই না  নিজের ফুটবল স্কিল দিয়ে জিতে নিয়েছিল বিপক্ষ দলের সমর্থক দের ও মন..তাই যে দিন ভগবান নিজের বুট জোড়া পাকা পাকি ভাবে তুলে রেখেছিল সে দিন সব ফুটবল প্রেমী মানুষ চোখের জলে বিদায় জানিয়েছিলো মোহন ভগবান কে....তোমাকে নিয়ে লিখবার কোন শেষ আছে বলে আমার জানা নেই...ব্যরেটো ভালো থেকো তুমি...পুনর্জন্ম বলে যদি কিছু থাকে তো তুমি আবার ফিরে এসো আমাদের সপ্নের সউদাগর হয়ে...মোহন জনতার হৃদয়ের মনি হয়ে....জয় মোহনবাগান 

ফেসবুক ক্রমাগত আমাদের গ্রুপ শেয়ারিং ব্লক করে চলেছে, সুতরাং, মোহন বাগান সম্পর্কিত সমস্ত খবর সবার আগে পেতে এক্ষুনি ব্লগ এর উপরে পুশ বটন অ্যালাও করে দিন আর আমাদের ফেসবুক পেজেলাইকের মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখুন, পোস্টটি পছন্দ হলে শেয়ার করতে অবশ্যই ভুলবেন না কিন্তু, লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজে "আমরা মোহনবাগানি" ব্লগের পাশে থাকবেন। - জয় মোহন বাগান

loading...

1 comment:

  1. সত‍্যি বলতে কী ১০ন‌ং সবুজ-মেরুন জার্সিতে অন‍্য কারুর কথা আর ভাবতে পারি না..

    ReplyDelete

Powered by Blogger.