আইএসএলের দিশা নির্দেশে আইএফএ | পার্থ সারথি চ্যাটার্জি
উতপল গন্গোপাধ্যায় এবং আইএফএ হঠাত আইএসএল ইস্যুতে কলকাতার দুই প্রধানের সমর্থনে এআইএফএফের বিরুদ্ধে জুদ্ধ ঘোষনা করায় অনেকে বিস্মিত হলেও আমি নই l আসলে কলকাতা ফুটবলের এই দুই জায়ান্ট আর মহামেডান স্পোরটিন্গ এক সময় আসমুদ্র হিমাচল শাসন করেছে ,এখন আভ্যন্তরীন দলাদলিতে মহামেডান পিছিয়ে পড়লেও বাকি দু ক্লাব সব থেকে বড় ক্রাউড পুলার ! এখন শ্রীমতী নীতা আম্বানি ও আইএমজিআর গ্রুপ ভারতীয় ফুটবলের ভাগ্যবিধাতা হলেও বাস্তবিক সত্য টা থেকে অনেক দূরে l মোহনবাগান এবং ইস্টবেন্গল আইএসএলের হোম ম্যাচ YBK তে খেললে আম্বানি গ্রুপের টিকিট বিক্রী থেকে আয় 20 গুন বাড়বে এতে কোন সন্দেহ নেই l
কিন্তু বাগান আর ইস্ট কে নিজেদের জার্সি , নাম আর লোগো ছাড়া নিশ্চয় সমর্থকরা পছন্দ করবেননা আর তাহলে গেট সেল নিশ্চয় আশানুরূপ হবেনা আর এই বাস্তব সত্যিটা নীতা আম্বানিকে কে বোঝাবে ?
ফেডারেশন নামক বিচিত্র সংস্থাটীর কোন ডিসিসন নেওয়ার ক্ষমতা নেই , এক কথায় এনাদের নিজস্ব কোন পরিচয় নেই! আম্বানিদের ব্যবসার আর একটা দফতর মাত্র আর কর্মকর্তারা নীতার আলোয় আলোকিত !
দু এক জন একদা ফুটবল দুনিয়ার সন্গে জড়ীত ছিলেন আইএফএ সূত্রে কিন্তু প্রভূত অর্থ খরচ করে আম্বানি গ্রুপ এদের স্বত্ত্বা কিনে হাতের পুতুল বানিয়ে রেখেছেন !
তাই ফুটবল এখন স্রেফ একটা ব্যবসা l আর এই ব্যবসায়িক দৃসটীভন্গিতেই নীতা দেবি চান কলকাতার দুই জায়ান্টকে কিনে নিয়ে নাম ,লোগো , জার্সি বদলে নতুন করে ব্র্যানডিন্গ করতে আর ফেডারেশন কে দালাল হিসাবে ব্যবহার করতে l
ঠিক এই মাহেন্দ্রক্ষনে আবির্ভাব উত্পল বাবুর l ইনি আপাদমস্তক ভদ্রলোক এবং বান্গলার ফুটবলের উন্নতির জন্য চিন্তা করেন l সমস্যাটা উনি ঠিক ধরেছেন , নিজস্বতা খুইয়ে ইস্ট মোহন আইএসএল খেললে ভারতের ফুটবল ইতিহাসের পাতায় শুধু লেখা থাকবে এই দুই ক্লাবের নাম কারণ বর্তমান থেকে হঠাতই অদৃশ্য হয়ে জাবে বান্গালীর গর্ব , আবেগ আর দুটো মাতৃমন্দির ইস্টবেন্গল আর মোহনবাগান l একটা ডার্বি YBK তে খেলা হলে কত দর্শক হয় সেটা আটলাটীকোর মালিকরা জানেন আর এই দুই ক্লাব খেললে ঐ বেওসায়ীর সমর্থক সংখ্যা শূন্য সেটাও ওনাদের মাথায় আছে , তাই এই ব্যবসায়িক ষড়জন্ত্র বান্গালির গর্বে আঘাত দিয়ে ক্লাব দুটোকে ঘুরপথে কিনে নেওয়ার !
উতপল গন্গোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ শাস্তির পরোয়া না করে আলাদা পেশাদার লিগ চালু করার চিন্তা ভাবনা করা এবং ম্যাচ গুলো আটলাটীকোর ম্যাচের দিন সমান্তরাল ভাবে আয়োজন করার নিশ্চয়তা !
আমরা আইএসএল খেলব কিন্তু আত্ম পরিচয় আর আত্মসম্মান বিকিয়ে নয় , বজায় রেখেই ! মাথা উঁচু করেই খেলব ,এই শর্তে রিলায়েন্স রাজি হোক , না হলে উতপল বাবু আপনিই ঠিক করবেন পালটা লিগ কোথায় আর কবে থেকে !
আমরা আপামর বান্গালী দল মত নির্বিশেসে আপনার সংগেই আছি আর থাকব l
লেখাটী সম্পূর্ণ করে উঠতে গিয়ে খবর পেলাম এআইএফএফ সভাপতি শ্রী প্রফুল্ল প্যাটেল জানাচ্ছেন আই লিগই একমাত্র সরকারী লিগ এবং আইএসএল একটী টুর্নামেন্ট হিসাবে খেলা হবে l দুটী প্রতিজোগিতার সংজুক্তিকারণ এই মুহুর্তে হচ্ছেনা l
মজার ব্যাপার , দুটী প্রতিজোগিতাই সমান্তরাল ভাবে 7 মাস চলবে l ঠিক এই জায়গাতে একটু সন্দেহ রইল , সাত মাস কোন টুর্নামেন্ট চালাতে গেলে কটা দল ঐ প্রতিজোগিতায় খেলবে ? আর দুটো প্রতিজোগিতা এক সন্গে চললে আই লিগ তো জৌলুষ ও মান দুটোই হারাবে ! কারণ ভারতীয় বড় খেলোয়াড়রা আইএসএল খেলে টাকা বেশি পাবেন ,সুতরাং আই লিগ চলবে দ্বিতীয় শ্রেনীর ভারতীয় খেলোয়াড়দের নিয়ে আর বিদেশি খেলোয়াড়রা অবশ্যই ঝুঁকবেন সার্কাস লিগের দিকে ! তাহলে আই লিগ কি দাঁড়াবে ? এটা ভারতীয় ফুটবলকে ধ্বংস করবে নাকি উন্নতিতে সাহাজ্য করবে সেটা এখনই বলা সম্ভব নয় l এএফসি কাপ বা এসিএল টুর্নামেন্টই বা কারা খেলবে সেটাও অনিশ্চিত !
অপেক্ষা করতে হবে আরো কিছু দিন প্রফুল্ল এন্ড কোম্পানীর আসল উদ্দেশ্য জানতে l অগত্যা অপেক্ষা আর অপেক্ষা ছাড়া গতি নেই !
কিন্তু বাগান আর ইস্ট কে নিজেদের জার্সি , নাম আর লোগো ছাড়া নিশ্চয় সমর্থকরা পছন্দ করবেননা আর তাহলে গেট সেল নিশ্চয় আশানুরূপ হবেনা আর এই বাস্তব সত্যিটা নীতা আম্বানিকে কে বোঝাবে ?
ফেডারেশন নামক বিচিত্র সংস্থাটীর কোন ডিসিসন নেওয়ার ক্ষমতা নেই , এক কথায় এনাদের নিজস্ব কোন পরিচয় নেই! আম্বানিদের ব্যবসার আর একটা দফতর মাত্র আর কর্মকর্তারা নীতার আলোয় আলোকিত !
দু এক জন একদা ফুটবল দুনিয়ার সন্গে জড়ীত ছিলেন আইএফএ সূত্রে কিন্তু প্রভূত অর্থ খরচ করে আম্বানি গ্রুপ এদের স্বত্ত্বা কিনে হাতের পুতুল বানিয়ে রেখেছেন !
তাই ফুটবল এখন স্রেফ একটা ব্যবসা l আর এই ব্যবসায়িক দৃসটীভন্গিতেই নীতা দেবি চান কলকাতার দুই জায়ান্টকে কিনে নিয়ে নাম ,লোগো , জার্সি বদলে নতুন করে ব্র্যানডিন্গ করতে আর ফেডারেশন কে দালাল হিসাবে ব্যবহার করতে l
ঠিক এই মাহেন্দ্রক্ষনে আবির্ভাব উত্পল বাবুর l ইনি আপাদমস্তক ভদ্রলোক এবং বান্গলার ফুটবলের উন্নতির জন্য চিন্তা করেন l সমস্যাটা উনি ঠিক ধরেছেন , নিজস্বতা খুইয়ে ইস্ট মোহন আইএসএল খেললে ভারতের ফুটবল ইতিহাসের পাতায় শুধু লেখা থাকবে এই দুই ক্লাবের নাম কারণ বর্তমান থেকে হঠাতই অদৃশ্য হয়ে জাবে বান্গালীর গর্ব , আবেগ আর দুটো মাতৃমন্দির ইস্টবেন্গল আর মোহনবাগান l একটা ডার্বি YBK তে খেলা হলে কত দর্শক হয় সেটা আটলাটীকোর মালিকরা জানেন আর এই দুই ক্লাব খেললে ঐ বেওসায়ীর সমর্থক সংখ্যা শূন্য সেটাও ওনাদের মাথায় আছে , তাই এই ব্যবসায়িক ষড়জন্ত্র বান্গালির গর্বে আঘাত দিয়ে ক্লাব দুটোকে ঘুরপথে কিনে নেওয়ার !
উতপল গন্গোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ শাস্তির পরোয়া না করে আলাদা পেশাদার লিগ চালু করার চিন্তা ভাবনা করা এবং ম্যাচ গুলো আটলাটীকোর ম্যাচের দিন সমান্তরাল ভাবে আয়োজন করার নিশ্চয়তা !
আমরা আইএসএল খেলব কিন্তু আত্ম পরিচয় আর আত্মসম্মান বিকিয়ে নয় , বজায় রেখেই ! মাথা উঁচু করেই খেলব ,এই শর্তে রিলায়েন্স রাজি হোক , না হলে উতপল বাবু আপনিই ঠিক করবেন পালটা লিগ কোথায় আর কবে থেকে !
আমরা আপামর বান্গালী দল মত নির্বিশেসে আপনার সংগেই আছি আর থাকব l
লেখাটী সম্পূর্ণ করে উঠতে গিয়ে খবর পেলাম এআইএফএফ সভাপতি শ্রী প্রফুল্ল প্যাটেল জানাচ্ছেন আই লিগই একমাত্র সরকারী লিগ এবং আইএসএল একটী টুর্নামেন্ট হিসাবে খেলা হবে l দুটী প্রতিজোগিতার সংজুক্তিকারণ এই মুহুর্তে হচ্ছেনা l
মজার ব্যাপার , দুটী প্রতিজোগিতাই সমান্তরাল ভাবে 7 মাস চলবে l ঠিক এই জায়গাতে একটু সন্দেহ রইল , সাত মাস কোন টুর্নামেন্ট চালাতে গেলে কটা দল ঐ প্রতিজোগিতায় খেলবে ? আর দুটো প্রতিজোগিতা এক সন্গে চললে আই লিগ তো জৌলুষ ও মান দুটোই হারাবে ! কারণ ভারতীয় বড় খেলোয়াড়রা আইএসএল খেলে টাকা বেশি পাবেন ,সুতরাং আই লিগ চলবে দ্বিতীয় শ্রেনীর ভারতীয় খেলোয়াড়দের নিয়ে আর বিদেশি খেলোয়াড়রা অবশ্যই ঝুঁকবেন সার্কাস লিগের দিকে ! তাহলে আই লিগ কি দাঁড়াবে ? এটা ভারতীয় ফুটবলকে ধ্বংস করবে নাকি উন্নতিতে সাহাজ্য করবে সেটা এখনই বলা সম্ভব নয় l এএফসি কাপ বা এসিএল টুর্নামেন্টই বা কারা খেলবে সেটাও অনিশ্চিত !
অপেক্ষা করতে হবে আরো কিছু দিন প্রফুল্ল এন্ড কোম্পানীর আসল উদ্দেশ্য জানতে l অগত্যা অপেক্ষা আর অপেক্ষা ছাড়া গতি নেই !
ফেসবুক ক্রমাগত আমাদের গ্রুপ শেয়ারিং ব্লক করে চলেছে, সুতরাং, মোহন বাগান সম্পর্কিত সমস্ত খবর সবার আগে পেতে এক্ষুনি ব্লগ এর উপরে পুশ বটন অ্যালাও করে দিন আর আমাদের ফেসবুক পেজেলাইকের মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখুন, পোস্টটি পছন্দ হলে শেয়ার করতে অবশ্যই ভুলবেন না কিন্তু, লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজে
"আমরা মোহনবাগানি" ব্লগের পাশে থাকবেন। - জয় মোহন বাগান
loading...
No comments