আইজলের মাঠে প্রথম পয়েন্ট মোহন বাগানের | বর্তমান
ডিকার কুঁচকিতে চোট, আলফ্রেডকে লাল কার্ড
আইজল এফসি-১(পুইতি) : মোহন বাগান-১(মননদীপ)
নিজস্ব প্রতিবেদন: ডার্বি জয়ের ধারা পাহাড়ে বজায় রাখতে ব্যর্থ মোহন বাগান। তবে এই প্রথম আইজলের মাঠ থেকে পয়েন্ট সংগ্রহ করতে সক্ষম হল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। সঞ্জয় সেনের আমলে রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে শুধুমাত্র হারের স্বাদই ছিল মোহন বাগানের সঙ্গী। সেই প্রেক্ষিতে শঙ্করলাল চক্রবর্তীকে আংশিক সফল বলতেই হবে। তবে এই ম্যাচ ড্র করায় তৃতীয় স্থানে উঠতে পারল না মোহন বাগান। ১১ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট পেয়ে তারা এই মুহূর্তে লিগ তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
বড় ম্যাচের প্রথম একাদশে এদিন একটিমাত্র পরিবর্তন করেছিলেন মোহন কোচ। আহত কিংশুক দেবনাথের পরিবর্তে খেলেছেন রানা ঘরামি। আইজলের ফিল্ড টার্ফের মাঠে জমিতে বল রেখে খেলার চেষ্টা করে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। কিন্তু গত ম্যাচের মতো জ্বলে উঠতে পারেননি নিখিল কদম-ওয়াটসনরা। প্রথমার্ধে কোনও দলই সেভাবে সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ডার্বির নায়ক ডিপান্ডা ডিকা কুঁচকিতে চোট পাওয়ায় ৩২ মিনিটে তাঁকে তুলে মননদীপ সিংকে মাঠে নামানো হয়। এরপর থেকেই কিছুটা রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে মোহন বাগান। গতিশীল ফুটবল খেলে আইজল বেশ কিছু আক্রমণ তৈরি করলেও তা সামলে দেন কিংসলে-শিলটনরা।
বিরতির পর ক্রমশ ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে আইজল। প্রেসিং ফুটবল খেলে তারা মোহন বাগান রক্ষণে চাপ বাড়ায়। ডোডোজ-কোবায়াসিদের রুখতে হিমসিম খেতে হয়েছে রিকি-রানাদের। ৫৮ মিনিটে ফৈয়াজের পরিবর্তে চেস্টারপল লিংডোকে মাঠে নামান মোহন কোচ। তাঁর এই পরিবর্তন সুবিধা করে দেয় প্রতিপক্ষের। খর্বকায় এই উইঙ্গারটি যে আই লিগে অচল আধূলি ছাড়া কিছুই নয় তা এদিন আবার প্রমাণ হল। ৭৩ মিনিটে লিড নেয় আইজল। বাঁ দিক থেকে ডোডোজ গতিতে অরিজিৎ বাগুইকে হার মানিয়ে মাইনাস রাখেন বক্সে। রানা ঘরামিও সেই বল ক্লিয়ার করতে পারেননি। পরিবর্ত পুইতির শট শিলটন শরীর ছুঁড়ে আংশিক প্রতিহত করলেও বল উঁচু হয়ে গোললাইন অতিক্রম করে (১-০)। শিলটন এবং রিকি দু’জনেরই শেষ চেষ্টা ব্যর্থ হয়। তবে আইজলের এই লিড দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তিন মিনিট পরেই ওয়াটসনের বাড়ানো বুদ্ধিদীপ্ত বল পেয়ে বিপক্ষ বক্সে ঢুকে পড়েন আক্রাম মোগরাবি। বিপক্ষ গোলরক্ষক অভিলাষ বেরিয়ে এসে তাঁকে লাথি মারেন।
ততক্ষণে অবশ্য আক্রামের প্রয়াস পোস্টের উপর দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। তবে রেফারি সঙ্গেসঙ্গে পেনাল্টির নির্দেশ দেন। স্পটকিক থেকে নেওয়া মননদীপের শট জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে যায় (১-১)। এরপর লোনেস্কুর প্রয়াস পোস্ট ছুঁয়ে বেরিয়ে যাওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে মোহন বাগান। ৮৯ মিনিটে আক্রামকে বিশ্রীভাবে মেরে লাল কার্ড দেখেন আইজলের আলফ্রেড জয়রান। ম্যাচ শেষে তাই সমর্থকরা রেফারির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পুলিসের পাহারায় শেষ পর্যন্ত স্টেডিয়াম ছাড়তে হয় রেফারিদের। মোহন ফুটবলাররাও প্রায় এক ঘণ্টা পরে হোটেলের দিকে রওনা দেন। ম্যাচের পর শঙ্করলাল চক্রবর্তী বলেন, ‘আইজলের মাঠে এই প্রথম পয়েন্ট পেলাম আমরা। এর কৃতিত্ব ফুটবলারদেরই। ওরা সেরা পারফরম্যান্স মেলে ধরেছে। আশা করি, এই ম্যাচ থেকে অর্জিত এক পয়েন্ট আগামী দিনে ছেলেদের উদ্দীপ্ত করবে।’
ফেসবুক ক্রমাগত আমাদের গ্রুপ শেয়ারিং ব্লক করে চলেছে, সুতরাং, মোহন বাগান সম্পর্কিত সমস্ত খবর সবার আগে পেতে এক্ষুনি ব্লগ এর উপরে পুশ বটন অ্যালাও করে দিন আর আমাদের ফেসবুক পেজেলাইকের মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখুন, পোস্টটি পছন্দ হলে শেয়ার করতে অবশ্যই ভুলবেন না কিন্তু, লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজে
"আমরা মোহনবাগানি" ব্লগের পাশে থাকবেন। - জয় মোহন বাগান
loading...
No comments